৩৫ কাঁঠুরিয়ার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শোকর্যালি
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ১৯৯৬ সালে ৩৫ কাঁঠুরিয়ার হত্যাকারীদের শাস্তি ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবিতে শোকর্যালি করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের লংগদু শাখা। মঙ্গলবার সকালে শোকর্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে নিহতদের কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়। এ সময় নিহতদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে শোক সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বারেক সরকার, অধ্যক্ষ আবু তাহের, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
সভায় তাঁরা জানান, ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পাকুয়াখালীতে ৩৫ জন কাঁঠুরিয়াকে আটকে রেখে হত্যা করে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা। হত্যার দীর্ঘ ২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের কোনো শাস্তি হয়নি, বিচার পায়নি পরিবার।
এ সময় পাকুয়াখালী গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করাসহ নিহতের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের দাবি জানান বক্তারা।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের এক বছর আগে ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ঠিক তিন মাসের মাথায় লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালী এলাকায় তৎকালীন সশস্ত্র গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী ৩৫ জন বাঙালি কাঁঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা সবাইকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনাটি চুক্তি স্বাক্ষরের পুরো প্রক্রিয়াটিকেই আরো জোরালো করে। সেই সময় ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল।
এ ঘটনার পর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর দিনটিকে প্রতিবছর বাঙালি অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলো পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।