যশোরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সন্তান প্রসব
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কিশোরী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানটিকে ভূমিষ্ট করানো হয়। সন্তান সুস্থ থাকলেও কিশোরী মায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আট মাস আগে মণিরামপুর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিন ছিল আগামী ১৭ অক্টোবর। মেয়েটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে তার প্রসববেদনা উঠলে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানিয়েছেন, বাচ্চাটি সুস্থ থাকলেও মায়ের অবস্থা গুরুতর। তবে মা ও ছেলে হাসপাতালের চিকিৎসক টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। তাদের সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, যশোরের জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র ওই মা ও ছেলের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তাঁরা বহন করবেন। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যেহেতু ধর্ষণের ব্যাপার রয়েছে, এ কারণে মা ও বাচ্চাটির নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মেয়েটির স্বজনরা জানিয়েছেন, মণিরামপুরে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মো. কিবরিয়া। তিনি ওই এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে ওই কিশোরী কাজ করতেন। চলতি বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন কিবরিয়া। এ সময় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর স্বজনরা আইনের আশ্রয় নেন। তখন পুলিশ কিবরিয়াকে আটক করে। বর্তমানে কিবরিয়া কারাগারে আছেন। আর মামলাটি বিচারাধীন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মেয়েটি সন্তান প্রসব করল।