‘কাদেরই জাপার চেয়ারম্যান, সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি তাঁর পক্ষে’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উনি ইন্তেকালের আগেই উনার আপন ছোটভাই জি এম কাদের সাহেবকে লিখিতভাবে উনার স্থলাভিষিক্ত করেছেন অর্থাৎ পার্টির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন।’
জাতীয় পার্টি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ দাবি করে ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘দলের ২৫ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৬ জন সংসদ সদস্য পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করেছেন। এটিকে যারা চ্যালেঞ্জ করছেন তারা পার্টির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাজী ফিরোজ রশিদ।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জি এম কাদেরকে সমর্থন দিয়ে কথা বললেন ফিরোজ রশিদ চৌধুরী।
ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘পার্লামেন্টারি পার্টির কথা তারা (রওশন এরশাদের অনুসারী) বলছেন। আমাদের গঠণতন্ত্রের ২২ ধারায় আছে জাতীয় পার্টির যেসব সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে তাদের নিয়ে পার্লামেন্টারি পার্টি হবে। পার্টির চেয়ারম্যান ওই পার্টির সদস্যের মধ্যে থেকে যে কাউকে নেতা, উপনেতা হুইপ নির্বাচিত করতে পারবেন। প্রত্যেক সদস্য উক্ত সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবেন। অর্থাৎ পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে এই সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে প্রস্তাব করেছি।’
ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য জি এম কাদেরকে সমর্থন করেছেন। উনি সংসদে বিরোধী দলের নেতা এবং পার্টির চেয়ারম্যান। একে যারা চ্যালেঞ্জ করছেন তারা গঠণতন্ত্র বিরোধী কাজ করছেন। গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কাজ করলে দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।’
ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলার সবাই জি এম কাদের এবং জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থাশীল। এর আগেও দুইবার ভাঙন হয়েছে। মূলধারা থেকে গিয়ে কেউ সুবিধা করতে পারে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মুহিববুল্লাহ, মুফিজুর রহমান মুফিজ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা।