সিরাজগঞ্জে বোনের ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য ঠেকাতে ভাইকে পিটুনি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে ও আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ঠেকাতে ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে মারপিট করে আহত করেছেন আসামি ও তার পরিবারের লোকজন। আহত কলেজছাত্রীর ছোট ভাই শুভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কলেজছাত্রীর বাবা আদিল সরকার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো পাঁচজনকে আসামি করে কামারখন্দ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন কামারখন্দ উপজেলার মাসুদ রানা সবুজ, তাঁর ভাই শাহীন রেজা, একই গ্রামের বাবু শেখ ও পাশের গ্রামের আব্দুল হাকিমসহ অজ্ঞাতরা।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর মাসুদ রানা সবুজ তাঁর প্রতিবেশীর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে তাঁর ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মাসুদ রানা সবুজকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে মামলাটি তুলে নিতে ও সাক্ষ্য দেওয়া ঠেকাতে আসামি ও তাঁর পরিবার ওই কলেজছাত্রীর পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। গতকাল বুধবার এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে শুভ ফুটবল খেলে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় আসামি সবুজ ও তাঁর লোকজন শুভকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘বাড়ির পাশের মাসুদ রানা সবুজ আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আমি কলেজে ভর্তি হয়েছি তারা আমাকে প্রতিনিয়ত ভয় দেখাচ্ছে। তাদের কারণে আমি কলেজে যেতে পারি না। মামলায় সাক্ষ্য না দিতে ভয় দেখানোর জন্য আসামিরা আমার ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশে মারপিট করে। আমার ভাই মারা গেছে ভেবে তারা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।’
ওই কলেজছাত্রীর বাবা আদিল সরকার জানান, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি সুবিচার চাই।