যশোরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, এসআইকে প্রত্যাহার
যশোরের শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ তদন্ত ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সহযোগিতা করার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআইকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাউদ্দিন শিকদার এ তদন্ত কমিটির প্রধান। অন্য দুই সদস্য হলেন পুলিশের নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও যশোর সদর কোর্টের কোর্ট পরিদর্শক।
আজ বুধবার বিকেলে যশোর পুলিশের বিশেষ শাখার এক ‘প্রেস নোটে’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছেন, গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলমকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেহেতু তাঁকে নিয়ে কথা উঠেছে, তাই সেখানে তিনি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারেন। এ কারণে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ তদন্ত ক্যাম্পের এসআই খায়রুল ও তাঁর সোর্স কামরুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী।
এদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধূ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বলেছেন, এক সময় তাঁর স্বামী চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতেন। কিন্তু এখন তিনি কৃষিকাজ করেন। সোমবার দিবাগত রাতে এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদের নামের চারজন তাঁদের বাড়ির সামনে এসে তাঁর স্বামীকে ডাকাডাকি শুরু করেন। গভীর রাত হওয়ায় তিনি দরজা খুলতে না চাইলে তাঁরা জানান যে, তাঁর স্বামীর মামলার ব্যাপারে তাঁরা কথা বলতে এসেছেন। এ কথা শুনে তিনি দরজা খুললে দারোগা খায়রুল ৫০ হাজার টাকা দিলে তাঁরা তাঁর স্বামীর মামলা হালকা করে দেবেন বলে জানান।
ওই গৃহবধূ আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে এসআই খায়রুল আলম ও কামরুল তাঁকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে চলে যান। পরে এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা মামলা করার এবং হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।