বনানীতে ধর্ষণের মামলা : সাক্ষ্য দিলেন দুই ম্যাজিস্ট্র্রেট
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী দুই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েসের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষীরা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্রেট খুরশিদ আলম। তাঁদের সাক্ষ্য শেষে বিচারক আগামী ৫ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। এর পরে মামলাটি ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এ বদলি হয়ে এলে ১৩ জুলাই বিচারক শফিউল আজম অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আরেক আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
মামলায় সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ কারাগারে আটক রয়েছেন। এছাড়া সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন জামিনে রয়েছেন।