মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনা জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৬ জুন বহুল আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর গভীর ও নিরবচ্ছিন্নভাবে তদন্ত শেষে ২৪ জনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪/২২২/১০৯/১১৪/১২০-বি (১) ধারায় বরগুনা থানার অভিযোগপত্র নম্বর : ২৮০ ও ২৮০- (১) তারিখ ০১-০৯ ২০১৯ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি বন্দুকযদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে অত্র মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।
এর বেশি ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আর কিছু উল্লেখ করা হয়নি। কথা বলেননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তাও।
তবে এ মামলার সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, আজ বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনি জেনেছেন, যেহেতু আদালতের বিচারক গাজী সিরাজুল ইসলাম এখন পর্যন্ত দাখিলকৃত অভিযোগপত্র দেখতে পারেননি সেহেতু এখনই এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আদালতের জিআরও আবদুল হান্নান।
আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম আরো জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্রের বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও যতটুকু জানা গেছে এ অভিযোগপত্র দুই ভাগে ভাগ করে দাখিল করা হয়েছে। একভাগে ১০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অন্যভাগে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই ভাগে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
তবে অন্য একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ৬১৪ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। যেখানে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির অবস্থান রয়েছে ৭ নম্বরে।
এ বিষয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জনশীল বলেন, ‘আদালতের জিআরও হান্নান সাহেব এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও অভিযোগপত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেছেন, ‘আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে আপনারা তা সংগ্রহ করতে পারেন।’
প্রাপ্ত বয়স্ক যে ১০ জন আসামি
১. মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), ২. আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), ৩. মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), ৪. মো. রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), ৫. মো. হাসান (১৯), ৬. মো. মুসা (২২), ৭. আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), ৮. রফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), ৯. মো. সাগর (১৯) ও ১০. কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। অন্য ১৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম উল্লেখ করা হলো না।