উড়াল সড়কে হত্যাকাণ্ড, ভিডিও ফুটেজ দেখছে পুলিশ
মোটরসাইকেলের চালক মো. মিলন হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের খুঁজতে সিসিটিভির ফুটেজই একমাত্র ভরসা বলে মনে করছে পুলিশ। তাই উড়াল সড়কের প্রবেশমুখ ও বের হয়ে যাওয়ার পথকে টার্গেট করে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছ্নে শাহাজানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল হক।
মো. শহিদুল হক বলেন, ‘মো. মিলন হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করা মুশকিল হবে পুলিশের জন্য। কারণ, যাত্রী নেওয়ার সময় মিলন রাইড শেয়ার অ্যাপস ব্যবহার করেননি। ফলে ফোন ট্রেক করে হত্যাকারীকে ধরা যাবে না। সেজন্য আমরা সিসিটিভির ফুটেজকে একমাত্র পথ হিসেবে দেখছি।’
ওসি শহিদুল বলেন, ‘রামপুরার আবুল হোটেল থেকে যাত্রী নিয়ে তৃতীয় তলার ফ্লাইওভারে উঠেছিলেন মিলন। তাই আবুল হোটেলের প্রবেশদ্বারের সব সিসিটিভির ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। ফ্লাইওভারের মাঝপথে তাঁর গলার ছুরি চালানো হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজও আমাদের কাছে নেই। সেজন্য ফ্লাইওভার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথ অর্থাৎ রাজারবাগের ক্রসিং আর শান্তি নগরের কর্নফুলি গার্ডেন সিটি মার্কেটের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।’
মো. শহিদুল হক বলেন, ‘সব ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা পর্যালোচনা করছি। আশা করছি ফুটেজ দেখেই আমরা হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারব। আমরা দ্রুতগতিতে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমরা ওই ঘটনাকে স্রেফ ছিনতাইয়ের ঘটনা হিসেবে দেখছি। তবে এখনো পর্যন্ত ঘটনার কোনো কুল-কিনারা করতে পারিনি আমরা।’
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. শিল্পী শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে কারো কোনো শত্রুতা থাকার কথা না। আমি জানি না, কীভাবে কী ঘটে গেল। আমার ছেলে মিনহাজুল (১০) এবং সাদিয়াকে (৫) এতিম করে রেখে গেল ওদের বাবা। এখন আমি কীভাবে চালাব এই সংসার?’
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যাত্রী নিয়ে মালিবাগ থেকে শান্তিনগরের দিকে যাচ্ছিলেন মো. মিলন। উড়াল সড়কে ওঠার পরপরই মিলনের গলায় ছুরিকাঘাত করে ওই যাত্রী। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার গলার ক্ষতস্থানে সাতটি সেলাই করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয়ে অবস্থার অবনতি হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা লড়ায়ের পর সোমবার সকাল ৬টার দিকে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।