গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে ও এক পোশাককর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন এক ইজিবাইকের চালক। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের দুই হেলপার ওমর ফারুক ও রিয়াজকে আটক এবং কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ থানার পয়ালী এলাকার মফিজুল ইসলাম ওরফে কসাই আলম (৪৭) ও তাঁর ছেলে কলেজছাত্র আজিজ (১৭)। অপর নিহত ব্যক্তি খাইরুল ইসলাম (২৭) ঝালকাঠি সদর থানার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দধবল এলাকার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া চৌধুরীবাড়ী এলাকার রুয়া ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অধীন পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে মফিজুল ইসলাম তাঁর ছেলে আজিজকে নিয়ে গাজীপুর থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন। পথে তাঁরা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে (অটোরিকশা) চড়ে মীরের বাজার যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি ঢাকা বাইপাস (নাওজোড়-ভুলতা) সড়কের মেঘডুবি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বনানী ট্র্যান্সপোর্টের একটি কভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ইজিবাইকের আরোহী মফিজুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এতে তাঁর ছেলে আজিজ ও ইজিবাইকচালক আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গুরুতর আহত আজিজকে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে। পুলিশ কভার্ডভ্যানের দুই হেলপার ফারুক ও রিয়াজকে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে যায় বলে জানান এসআই সাইফুল।
এদিকে, রোববার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক পোশাককর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একটি বাসে আগুন দেন ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাওসার আহমেদ চৌধুরী জানান, খাইরুল স্থানীয় রুয়া ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় চাকরি করতেন। রোববার রাতে কারখানা ছুটির পর তিনি বাসায় যাচ্ছিলেন। তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী অনাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।