রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশের ব্যাপারে জানে না সরকার
রোগিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশের ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানা ছিল না সরকারের। এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন রোহিঙ্গারা সংগঠিত হয়ে এমন কিছু করতে না পারে সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তারা ফিরে তো যায়ইনি, উল্টো বিদেশের মাটি হওয়া সত্ত্বেও তারা বড় একটি সমাবেশ করল। রোহিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশের খবর চলে আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। প্রশ্ন ওঠে বিদেশি হিসেবে এমন সমাবেশ তারা বাংলাদেশে করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আদৌ কারো অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কালকের যে সমাবেশটা হয়, আমাদের কাছে আগে এর খবর ছিল না। ইনফ্যাক্ট টেলিভিশনে আমরা প্রথম এ ব্যাপারে তথ্য পেলাম। তবে আমরা জেনেছি যে তারা যেহেতু দোয়া করবে সেজন্য এ ব্যাপারে আপত্তি করা হয়নি।’
আর যেন আন্দোলন করতে না পারে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা আমরা নেব। আমাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হয়েছে। আমরা এর মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারি সেটা নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ করেই ব্যবস্থা নেব।’
গোপনে কারা রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করে নিজ দেশে ফিরে না যাওয়ার ব্যাপারে মদদ দিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা এখন চিহ্নিত করছি কী কারণে এই ডিজিটাল ব্যানার আসল, ফেস্টুন-ফ্লায়ার আসল, কীভাবে ক্যাম্পেইন ম্যাটারিয়াল চালু হলো। ওগুলো আমরা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’