দেশ রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই : ড. কামাল
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধু অসাধ্যকে সাধন করেছেন। কিন্তু উনি যে স্বপ্ন দেখে গেছেন সেভাবে তো দেশ চলছে না।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে এখন দুর্নীতি চলছে, জনগণকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই এই দেশকে রক্ষা করার জন্য জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হবে ঐক্যের ওপর ভর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশের জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক। আজ নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেন, আমরা কি মালিকের ভূমিকায় আছি? বিভিন্নভাবে আমাদের অভিযোগ করতে হচ্ছে, দেশ আজকে কার নিয়ন্ত্রণে চলছে, পুলিশ কার নির্দেশে মানুষকে এভাবে হয়রানি করছে?
গণফোরামের সভাপতি বলেন, জনগণ যদি ক্ষমতার মালিক থাকত তাহলে তো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অবস্থা হতো না। এইভাবে নারী নির্যাতন হতো না, হত্যার শিকার হতো না। এগুলো তো খুবই লজ্জার বিষয় যে প্রত্যেকদিন এসব ঘটনা পত্রপত্রিকায় পড়তে হয়। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ যদি থাকত, জনগণ যদি ক্ষমতার মালিক থাকত, এসব ঘটনা কখনোই ঘটত না।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার জনগণকে যেভাবে অবহেলা করছে, পুলিশকে যেভাবে অপব্যবহার করছে, এসব কর্মকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হচ্ছে। তিনি তো সংবিধানে স্বাক্ষর করে দিয়ে গেছেন যে, জনগণ এই দেশের ক্ষমতার মালিক। সরকার তো কিছুই মানছে না। তারা তো বঙ্গবন্ধুকে অপমান করছে।
সভায় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। চারদিকে গুম, খুন, হত্যা, নিপীড়ন বেড়ে গেছে। চলছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। এভাবে তো দেশ চলতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছি, ঠিক এমনি এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা জীবনের শেষপর্যায়ে চলে এসেছি। কিন্তু এখনো আমাদের দেশের জন্য কিছু করার আছে। সবাই মিলে দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, সামনে অনেক বিপদ। তাই সবাইকে নিয়ে কাজ করুন। নয়তো আপনি টিকে থাকতে পারবেন না। আর একটা কথা মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বলে আপনি সবকিছুতে পার পেয়ে যাবেন না।