ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ‘গ্রেপ্তার’, শাস্তি দাবি
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের একটি পরিত্যক্ত রেলের বগিতে আসমা আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মারুফ হাসান বাঁধনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বাঁধন আত্মসমর্পণ করেছেন। বাঁধন পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীতাগ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। পরে এই দাবিতে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
গত সোমবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে ময়মনসিংহগামী বলাকা কমিউটার ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগির শৌচাগার থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আসমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
আসমা খাতুনের বাড়ি পঞ্চগড় জেলা সদরের শিংপাড়া এলাকার কনপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ভ্যানচালক আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মেয়ে। স্থানীয় খান বাহাদুর মখলেছুর রহমান মাদ্রাসা থেকে এবার সে দাখিল পাস করে।
আসমার পরিবারের অভিযোগ, পাশের সীতাগ্রামের মারুফ হাসান বাঁধনের সঙ্গে আসমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাঁধনই তাঁকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
আসমা হত্যার বিচারের দাবিতে আজকের মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে আসমা খাতুনের বাবা-মা, চাচাসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আসমার বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার মেয়ের মতো যেন আর কারো সন্তানের এমন না হয়। এ জন্য আমি মেয়ের ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
এ ছাড়া মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক এমরান আল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য ও নারীনেত্রী আকতারুন নাহার সাকী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’-এর ভারপ্রাপ্ত আহ্বয়ক ও পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।