চট্টগ্রামে কাক-কুকুরের মুখ থেকে দুই নবজাতককে উদ্ধার
চট্টগ্রামে পৃথক স্থানে রাস্তার কুকুর ও কাকের মুখ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এক পুলিশ সদস্য ও এক পথচারী। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে নবজাতক দুটি।
উদ্ধার হওয়া নবজাতকের মধ্যে একটি মেয়ে ও একটি ছেলেশিশু। তাদের উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে মঙ্গলবার ভোরে নবজাতক এক মেয়ে শিশুকে কয়েকটি কুকুর টানাটানি করছিল। দৃশ্যটি দেখে এগিয়ে আসেন পুলিশের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজ। পরে কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার করেন ওই নবজাতককে। শিশুটির মা একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। মা ও শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ জানান, কয়েকদিন আগে সন্তানহারানো এক মায়ের দুধ দিয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে কুড়িয়ে পাওয়া কন্যাশিশুটিকে। বর্তমানে সুস্থ আছে মা ও শিশুটি।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে ষোলশহর মেয়র গলি এলাকায় একটি ডাস্টবিনে কাকের টানাটানি থেকে এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছেন মরিয়ম বেগম নামের এক পথচারী। ডাস্টবিন থেকে শিশুটিকে রক্ষার পর পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন বলে জানান ওই নারী।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিশু দুটি সুস্থ আছে। কন্যাশিশুর মা মানসিক রোগী হওয়ায় শুধু তাঁর নাম আয়েশা বলতে পারেন। আর কিছু বলতে পারেন না। তিনিও সুস্থ আছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাইনি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহান আরা বলেন, ‘সকালে পুলিশ এক নবজাতককে ভর্তি করে। ভারসাম্যহীন মাসহ শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’