কারাগার থেকে মুক্তির পর গলা কেটে হত্যা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আন্তজেলা গরু চোরচক্রের সর্দার রফিককে (৪০) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর গ্রামের একটি ডোবায় তাঁর মৃতদেহ পড়েছিল। স্থানীয়রা দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত রফিক উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের কালাগাজী মিয়ার ছেলে।
রফিকের ভাই ফেরদৌস ও ভাতিজা অপু মিয়া জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান রফিক। এলাকাবাসী দুপুর ১টার দিকে তাঁর লাশ টানকৃষ্ণনগর এলাকার ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে।
স্বজনদের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় রফিককে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তিন বছর ধরে মধ্যেরচর এলাকার গোলাপ মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁদের বিরোধ চলে আসছিল। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই টানকৃষ্ণনগর এলাকার লাল মিয়া, তাঁর ছেলে তানভীর ও মধ্যেরচর এলাকার লতিফ হাজি, তাঁর ছেলে আল আমিন, গোলাপ মিয়া, ফারুক মিয়া, রফিক ও তাঁদের সঙ্গীরা মিলে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহালুল খান বাহার জানান, রফিকের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একাধিক গরু চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি কুখ্যাত গরুচোর হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, গরুচোর চক্রের হোতা রফিককে গত ৩ আগস্ট নরসিংদীর শিবপুরের ইটাখোলা এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। সোমবার তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। মঙ্গলবার কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্তে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। পরিবারের লোকজন মামলা করতে এলে পুলিশ সহযোগিতা করবে।