মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে আশ্রমে ফেলে পালালেন মা!
বাবা-মায়ের বুকের ধন তাঁদের সন্তান। সন্তানের জন্য বাবা-মায়েদের হাহাকার আজীবন। যেমনই হোক সন্তান বুক দিয়ে আগলে রাখেন বাবা-মা। কিন্তু কখনো কখনো তার উল্টোটাও ঘটে থাকে। সমাজের রূঢ় বাস্তবতায় কখনো কখনো কদর্য চেহারা বেরিয়ে আসে।
পাবনার অসহায় ও আশ্রয়হীনদের আশ্রয়স্থল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম। সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফেলে পালিয়ে গেছেন তাঁর মা। মেয়েটি নিজে থেকে কোনো কথা বলতে পারেন না। প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেন না। প্রতিবন্ধী এই তরুণীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানসিক রোগী চিকিৎসার জন্য পাবনার হেমায়েতপুরে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আশ্রম সংলগ্ন পাবনা মানসিক হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে নতুন রোগী ভর্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যারা ভর্তি হতে পারেন না কিংবা অসময়ে আসেন তাদের জন্য শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে আসছে।
চলতি বছরের ১২ জুন এক তরুণী মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আশ্রমে আশ্রয় নেন তাঁর মা। এর একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে ওই তরুণীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান মা। এর পর থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর আশ্রম কর্তৃপক্ষ পাবনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার রায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আশ্রমে যারা আশ্রয় নেন রেজিস্টারের মাধ্যমে তাদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এই রোগী আশ্রয় নেওয়ার পর পরই তাঁর মা অন্য রোগীর স্বজনদের কাছে রেখে পালিয়ে যান। যে করণে তাঁর তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়নি। তিনি এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, এ বিষয়ে এক সাধারণ ডায়রি হয়েছে। মেয়েটির ছবি বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের পাওয়া গেলে তাঁদের কাছে মেয়েটি তুলে দেওয়া হবে।