যারা বলতেন বাংলাদেশ টিকবে না, তারা অবাক হচ্ছেন : ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ওই সময় যারা বলতেন বাংলাদেশ টিকবে না, তারাই এখন বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য ও উন্নতি দেখে অবাক হচ্ছেন।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সারা জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছেন। এমনকি ওই সময় বিদেশি অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। তারা বলত এ দেশ টিকবে না। সেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শ আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। জাতির পিতা ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর এ সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবার একসাথে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের উপর এ ঘটনা একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যা কখনো মোচন হবে না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা থমকে দাঁড়ায় ১৯৭৫ সালে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের গণমুখী কাজের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু দেশে জন-বান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার গোড়াপত্তন করেন। তিনি পরিবারপ্রতি জমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘা নির্ধারণ করেন। ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করেন এবং গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও দেশব্যাপী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমির খাজনা মকুফ করাসহ ভূমি ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ভূমি সম্পর্কিত গণমুখী কর্মকাণ্ডগুলো মূলত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত কার্যক্রমের সম্প্রসারণ।’
ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, আতাউর রহমান ও সিরাজ উদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হযরত আলী।