খোন্দকার মোশতাক আওয়ামী লীগেরই লোক ছিলেন : আমু
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনাকে জাতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, খোন্দকার মোশতাক বাইরের কোনো লোক ছিলেন না। তিনি (মোশতাক) কে ছিলেন? আওয়ামী লীগেরই লোক ছিলেন। কাজেই আমাদের এখনো সতর্ক হতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।
দলকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, আগের চেয়ে আমাদের এখন আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে যে অপশক্তি হত্যা করেছে সে শক্তি কিন্তু এখনো বসে নেই। তাদের ষড়যন্ত্রও থেমে নেই।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আমাদের নিজেদের একটি প্রশ্ন করতে হবে, খন্দকার মোশতাক কে ছিলেন? মোশতাক আওয়ামী লীগেরই নেতা ছিলেন। এই মোশতাকই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হোন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে বন্দি করে পরে ৩ নভেম্বর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে আমু বলেন, অনেকেই মনে করেন ১৫ আগস্টের এ হত্যাকাণ্ডটি একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। এটি কোনো পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। এটি ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র। এটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড হলে কারাগারে ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো না। জাতিকে আবারো পরাধীন করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য একটি রোলমডেল। সবদিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশেরই নেত্রী নন। এখন গোটা বিশ্বের যে কয়েকজন নেতার নাম উচ্চারিত হয়, শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে অন্যতম। কাজেই এখন আমাদের দলকে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। পঁচাত্তরের খুনিচক্র যাতে আবার কোনো ছোবল হানতে না পারে, আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।