সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনেক স্থানে দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়।
ঢাকার বাইরে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা : সকাল থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড শোক র্যালি এসে প্রথমে জমায়েত হয় নগরীর নিউ মার্কেট সামনে। পরে সেখান থেকে সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। এটি যশোর রোড খুলনা বেতার কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।
র্যালিতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর, জেলা প্রশাসক শেখ হেলাল হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ ছাড়া নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়। দুপুরে দরিদ্র ভোজের আয়েজন করা হয়।
মারুফ আহমেদ, সিলেট : সকাল থেকেই সিলেটে শুরু হয় শোক দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
সকাল ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় শোক র্যালি। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এর পর দুপুর ১২টায় শোক র্যালি বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ : সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সার্কিট হাউজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতা, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে একটি শোক র্যালি বের করে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন। র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত। এ ছাড়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লোকনাথ দিঘীর টেংকের পাড় থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি শোক র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় সর্বস্তরের মানুষ। পরে শোক র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড.এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। আর সেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এ জাতি কখনো বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা ভুলবে না।
মো. জালাল উদ্দিন, কুমিল্লা : সকালে নগরীর টাউনহল থেকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র্যালি বের হয়। শোক র্যালিটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগর পার্কে এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ অন্যরা। এ সময় জেলা পুলিশের একটি চৌকশ দল সালাম প্রদর্শন করে।
ভজন দাস, নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় শোক র্যালি, আলোচনা সভা, প্রীতি ভোজ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান।
রশিদ আল মুনান, পিরোজপুর : সকাল ৯টায় শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে কমিটির সহসভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি শোক র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আলী আজম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফারুক আলম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাহফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং উপস্থিত সবার মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।
কাকন রেজা, শেরপুর : সকালে ১০টায় শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রথমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এরপর সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ফাতেমাতুজ্জুহারা শ্যামলী, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শেরপুরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মৃধা, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসান রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম ও আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃবন্দ।
এর আগে সকাল ৮টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। এ ছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে জেলার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা, রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়।
মো. আলমগীর হোসেন, ভালুকা : সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তা। বেলা ১১টায় পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামালের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, মেয়র ডা. মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি ভালুকা-গফরগাঁও সড়ক হয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
রেজ আন উল বাসার তাপস, মেহেরপুর : সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। পুলিশ সুপার এস. এম. মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ খালেকসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র্যালিতে অংশ নেয়। র্যালি শেষে শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তারা।
এম. মুনীর চৌধুরী, নড়াইল : সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত, র্যালি, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক গাউসুল আযম মাসুম, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মীনা মরফিদুল হাসান শিল্পীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্থানীয় প্রেরণা একাত্তর চত্বরে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এরপর পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানসহ অনেকে বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিল করা হয়। শেষে খাবার বিতরণ করা হয়।
মো. আফজাল হোসেন, ভোলা : সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে একটি শোক র্যালি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এদিকে ভোলা আব্দুর রব স্কুল অ্যান্ড কলেজে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শাহজাহান সিরাজ মিঠু, জয়পুরহাট : জয়পুরহাট পৌরসভার সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিমুখর সকালে কালেক্টরেট ময়দান থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের শহীদ ডা.আবুল কাশেম ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জয়পুরহাট টাউন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুল আলম দুদু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম শফিক, মাগুরা : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকালে শহরে শোক র্যালি বের করা হয়। পরে নোমানী ময়দানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আলী আকবরের সভাপতিত্বে আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। প্রধান আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার। মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল-হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু ও পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল। এ সময় বক্তারা, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা : পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি চেম্বার মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি মো. সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী। চেম্বারের পরিচালক সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি, পাবিপ্রবির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাবিবুল্লাহ, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা চেম্বারের পরিচালক মাসুদুর রহমান মিন্টু, চেম্বার পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাচ্চু প্রামাণিক প্রমুখ।
এ ছাড়াও দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ ছাড়াও জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বিনামূল্যে ডেঙ্গু, রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা করা হয়। আর জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনিসহ অনেকে। এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।
কাজী রাশেদ, চান্দিনা : উপজেলা চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে চান্দিনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন তপন বকসী, চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আবুল ফয়সল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মো. মফিজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাঈমা ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসান।
অনুষ্ঠান শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ : সকালে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, প্রেসক্লাবসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে জেলা শহরের প্রধান সড়কে বের হয় শোক র্যালি। মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জজ কোর্টের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রমজান আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ এই শোক র্যালিতে অংশ নেয়।
এ দিকে, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্চাসেকলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী ভান্ডারী, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, মানিকগঞ্জ সদর যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হৃদয় হোসেন জকিসহ অনেকেই।
জাহিদুর রহমান, সাভার : দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান। পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে উপজেলার হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের খুব শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে।
আলোচনা সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খাঁনসহ আরো অনেকে।
এছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ।
রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা : সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর শোক র্যালি বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার প্রধান অতিথি এবং পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান ও সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া সকাল ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম। আলোচনা সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার, মুখ্য বিচারিক হাকিম মিজানুর রহমান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নীলা কর্মকার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া নাগ, আইনজীবী সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম, আবুল বাশার ও মহা. শামসুজ্জোহা বক্তব্য দেন।