পাহাড়ে জেএসএসের দুই নেতাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত এম এন লারমা গ্রুপের দুই নেতাকে নিজ বাড়িতে ব্রাশফায়ার করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জেএসএসের (এম এন লারমা) সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শতসিদ্ধি চাকমা (৩৫) ও উপজেলা কমিটির সদস্য এনো চাকমা (৩০)।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মনজুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলা সদরের বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টারের পাশের বাসায় ব্রাশফায়ার চালায়। এতে দুজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বাবুপাড়া জেএসএসের (এম এন লারমা) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এখানে অন্যান্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জ্ঞান চাকমা নিহতদের নিজেদের নেতা দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন।
তবে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে রাতে জনসংহতি সমিতির কোনো দায়িত্বশীল নেতাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে ২০০৯ সালে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত কিছু নেতা জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন এই সংগঠনের জন্ম দেন।
অন্যদিকে, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনীতির আরেকটি প্রভাবশালী সংগঠন প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিছু নেতাকর্মী নতুন একটি দলের জন্ম দেন। সেটির নাম রাখা হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।
পাহাড়ের আধিপত্য নিয়ে এই চারটি রাজনৈতিক দল বা গ্রুপের মধ্যে সহিংসতা ও হানাহানির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে পাহাড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে ফের আরো আরেকটি জোড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।