ঈদের রাতেও ক্রেতা নেই নিউ মার্কেটে
রাত পোহালেই ঈদ। তবে ক্রেতা নেই নিউ মার্কেটে। কয়েকজন বিক্রেতাকে অবসর সময় কাটাতে দেখা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা আশা করছেন, রাত বাড়লেই ক্রেতা বাড়বে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে।
নিউ মার্কেটের শাহিন গার্মেন্টসের মালিক আবু জাফর। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকালও ভালো বেচাবিক্রি ছিল। কিন্তু আজ বিক্রি নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মানুষ গ্রামে চলে গেছে। তবে অন্যবার ঢাকার মানুষ ঈদের আগের রাতে বেশি আসে। এবার মনে হচ্ছে কম। আরো রাত বেশি হলে ক্রেতা আসতে পারে বেশি।’
হামিদ বস্ত্রালয়ের বিক্রেতা মিশুক খন্দকার বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে বেশি ক্রেতা ছিল। তবে সন্ধ্যার পর কমতে শুরু করেছে। দেখা যাক কী হয়।’
মিরপুর থেকে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ঢাকার স্থানীয় নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আগে অনেক কিছু কিনেছি। আজ এবার মেয়ে বায়না ধরল, তাই চলে এসেছি। এখনো কিছু কিনিনি। তবে কিনব। গরু কোরবানি করব, ওই আমাদের ঈদ। আর মেয়ের ঈদ হলো জামাকাপড় কেনা।’
পুরোনো নিউ মার্কেটের ফুটপাতে এসেও দেখা মেলে একই অবস্থা। ক্রেতা কম, তবে নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় তলার চেয়ে লোক সমাগম বেশি। রবিউল নামের একজন উচ্চস্বরে হাঁকছেন, ‘দেড়শর মাল একশ।’
ফুটপাতে গাউন বিক্রি করছেন রহিম আব্দুল্লাহ ও হিমেল। তাঁরা দুজনই জোরে জোরে বলছেন, ‘পাঁচশর মাল খালি দুইশ!’ পরে ইতি নামের একজন একটি গাউন কিনলেন। বললেন, ‘আসলেই এই গাউনের দাম অন্তত চারশ। কিন্তু মাত্র দুইশ টাকা দিয়ে একটা কিনলাম। কমই নিল।’
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দরদাম শেষে কমপক্ষে দেড়শ টাকায় স্কার্ট বিক্রি করি। অথচ এখন ডেকে ডেকে একশ করে বিক্রি করছি। লোকজন নাই। বিক্রিও কম।’
নিউ মার্কেটের ফুটপাতে থেকে শর্ট ফতুয়া কিনেছেন লাইমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘এই ফতুয়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার কম বিক্রি করে না। কিন্তু এখন ২০০ টাকায় ডেকে ডেকে দিচ্ছে। ভালোই হলো, কম দামেই পাওয়া গেল।’