নেত্রকোনায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
নেত্রকোনা সদর উপজেলায় একটি খাবারের হোটেলে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরের দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার সাইদুল ইসলাম (৩০), রেজাউল করিম পাভেল (২৮), জামান বাশার (২৭) ও ধর্ষণের সহযোগী সারিন্দা ফাস্ট ফুড হোটেলের ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান মামুন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম ওই গৃহবধূর অভিযোগের সূত্রে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা থেকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে স্বামীসহ বাসে ওঠেন ওই গৃহবধূ। পথে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় রাজেন্দ্রপুর এলাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সারিন্দা ফাস্টফুড হোটেলের পেছনের দিকে শৌচাগারে যান ওই গৃহবধূ। এ সময় জিহান নামের একজন তাঁকে শৌচাগারের ভেতরেই ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে হোটেলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে অন্য কক্ষে নিয়ে সম্রাট, জামান বাশার, রাসেল, পাভেল ও সাইদুল ইসলাম রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এর পর ধর্ষকরা কাউকে কিছু না বলার ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন এবং সাড়ে ১০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে রাত ১টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেন।
সেখান থেকে রাত ২টার দিকে স্বামীসহ ও গৃহবধূ থানায় এসে ঘটনা খুলে বলেন। পুলিশ গৃহবধূকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে তাঁর (গৃহবধূ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজ শনিবার হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ছয় যুবকের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।