শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় বাড়ছে, ফেরিও স্বাভাবিক চলছে
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে আজ ভোর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় এই নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)।
সংস্থাটির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকেই এই ধারা অব্যাহত আছে। এখন ঘাটে পারের জন্য নয় শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি অপেক্ষায় আছেন।
‘গতকাল মোটরসাইকেলসহ পাঁচ হাজার গাড়ি পারাপার হয়েছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়ির চাপ আরো বাড়বে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না।’
সকাল থেকে আবহাওয়া ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী আছে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এরকম পরিস্থিতি থাকলে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা থাকবে না। গাড়ির চাপ থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। গত দুদিন নদীতে তীব্র ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকাল থেকে লঞ্চঘাট ও সি-বোট ঘাটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। ঈদ উপলক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে থাকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে।
লঞ্চ চলাচলে কোনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন বিআইডব্লিউটিএর এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, ‘ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না। এ ছাড়া সি-বোট ঘাটেও যাত্রীদের বাড়তি উপস্থিতি আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ অব্যাহত থাকবে।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে প্রাইভেটকার ও বাস পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ভোর থেকেই যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া ট্রাকের একটি দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী গাড়িকে আগে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। ফেরি চলাচলে বিঘ্ন না ঘটলে গাড়ির চাপ কমে আসবে বলে জানান তিনি।