ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউএনওর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা পারভীনের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসকক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনওর অফিস সহকারী উকিল হোসেন বলেন, ‘সকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা পারভীন ও তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাত আট থেকে দশজন স্যারের রুমের ভেতরে ঢুকেন। তাঁরা ভ্রমণ বিলের চেক স্বাক্ষরের নাম করে প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র, রেজিস্ট্রার বই ও চেক ছিঁড়ে ফেলেন। আমি এ কাজে বাধা দিলে তাঁরা আমার ওপর হামলা চালান। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।’
অফিস সহকারী উকিল আরো বলেন, ‘স্যার এ সময় অফিসে ছিলেন না। তিনি জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংয়ের জন্য ফরিদপুর ছিলেন।’
এ ঘটনায় অফিস সহকারী উকিল হোসেন ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। হলরুমে মিটিং করার সময় শোরগোল শুনে আমি সেখানে যাই। তখন উকিল আমাকে বলে তাঁর সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মারধরের ঘটনা ঘটছে।’
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা পারভীন আহত হয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান দেলোয়ার হোসেন।
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা পারভীনের স্বামী মো. আলমগীর হোসেনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এ ঘটনার কথা জানতে পেরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুবাশ্বর হাসানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করলে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’