মাদ্রাসাছাত্র হত্যা, তিন ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হোসাইন (১১) হত্যা মামলায় তিন মাদ্রাসাছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ বুধবার শিশু আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি ছালিমির হোসেন, আবু হানিফ রাতুল এবং আব্দুর নুরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
আবির হত্যা মামলা রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সদর উপজেলার হানুরবারাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আনিসুজ্জামান (১৮), টেইপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ছালিমির হোসেন (১৩), আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আবু হানিফ রাতুল (১৩), আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মামুন হোসেনের ছেলে আব্দুর নুর (১২) ও বলদিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মুনায়েম হোসেন (১৬)। তাদের গত রোববার ও সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আনিসুজ্জামান, ছালিমির হোসেন ও আবু হানিফ রাতুল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাজেদুর রহমানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা পাঁচজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গত ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়রাডাঙ্গা নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হোসাইনের মস্তকবিহীন লাশ মাদ্রাসার পেছনের একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার করে। খুনের ঘটনায় নিহতের মা ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আলী হোসেনের স্ত্রী গোলাপী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ওইদিনই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা পরের দিন মাদ্রাসার কাছাকাছি একটি পুকুর থেকে আবিরের মাথা উদ্ধার করে।
আলোচিত মামলায় পুলিশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু হানিফ ও শিক্ষক তামিম হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।