২৮০০ পিস ইয়াবা হয়ে গেল ৫০!
রাজধানীর মুগদা থানার একটি মামলায় দুই হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার হন মোসাম্মৎ মুক্তা নামের এক নারী। ওই মামলায় জামিন করিয়ে দেওয়ার জন্য বনি ইয়ামিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন মুক্তার লোকজন। গত ২৭ জুলাই বিচারপতি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও বিচারপতি আহম্মেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামি মুক্তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের মুন্সিখানায় সেই জামিনের আদেশ আসে। জামিনের আদেশে দেখা যায়, আসামির কাছে থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে, তাই জামিন দেওয়া হলো। কিন্তু জুডিশিয়াল কর্মকর্তা সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখেন আসলে উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা। এরপর তাঁকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা আটক করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম খলিল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল মুগদা থানার ১৭(৪)১৯ নম্বর মামলায় এক আসামি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নিয়েছেন। আমরা সে তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। আজ রোববার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালতের মুন্সিখানায় গিয়ে দেখি, আসামি মুক্তার পক্ষে বনি ইয়ামিন নামের এক ব্যক্তি জামিননামা প্রস্তুত করছেন। তাঁকে আমরা চ্যালেঞ্জ করলে জানতে পারি, দুই হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাকে ৫০ পিস দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এরপর তাঁকে আটক করে সিএমএম আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ইব্রাহিম খলিল আরো বলেন, ‘এর আগে আসামি বনি ইয়ামিন ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটকে পাঁচ হাজার পিস বানিয়ে জামিন করিয়েছিলেন। ওই মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হলে পরে জামিনে মুক্তি পান।
সিএমএম আদালতের জুডিশিয়াল পেশকার ওমর ফারুক চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় বনি ইয়ামিন নামের এক আসামিকে আজ আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ব্যবস্থা নিবেন ও ইতিমধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সিএমএম আদালতে প্রতারণার কথা আমি শুনেছি। এখনো মামলা করা হয়নি। আদালত কর্তৃপক্ষ মামলা করতে চাইলে যেকোনো সময় মামলা নেব।’