আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর চোখ, শরীর ও ভাবনাটা সুস্থ করুক : গয়েশ্বর
সরকারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থা ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি দুর্বল। আর সরকার কোনো ভালো অবস্থানে নেই। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গিয়েছেন, এদিকে দেশের অবস্থা ভয়াবহ। কিন্তু তার চেয়ে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা ভয়াবহ। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা বন্ধ করে তিনি আসতে পারতেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে কিন্তু তিনি আসতে পারছেন না। তাহলে তিনি কঠিন অবস্থার মধ্যে আছেন। এর কারণে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তিনি আসতে পারছেন না। শোনা যাচ্ছে, নানা রকম সমস্যা। আর চোখের আলোটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেশি জরুরি। তাহলেই তো মানুষের চোখের দিকে তাকালে তাদের চোখের ভাষাটা কী, তা বুঝতে পারবেন। তবে আমরা চাই, আল্লাহ উনার চোখ ভালো করুক। আল্লাহ তাঁর চোখ, শরীর ও ভাবনাটা সুস্থ করুক। আর আল্লাহ যেনো উনাকে মানুষকে ভালোবাসার তৌফিক দেন। কারণ আমরা কোনো মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রাজনৈতিক নেত্রীর মুক্তি হয় রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন খালোদা জিয়া) জেলখানায় যাওয়ার পরে আমরা এমন কোনো আন্দোলন করতে পারি নাই যে সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। আর আন্দোলনের কোনো আওয়াজও আমরা আদালতে দিতে পারিনি। আর বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে জজদের ওপরে জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। এই বার্তাও আমরা দেই নাই।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন দুর্নীতির আড্ডাখানা।
গয়েশ্বর বলেন, গণপিটুনির আড়ালে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সে বিষয়টি সামনে আনতে হবে। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, এর সঙ্গে বিরোধী দলের হাত আছে। তার মানে কি? তার মানে, দেশকে চরম একটা অবস্থানের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং কোনো একটা সময়ে তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে কেটে পড়ে কি না।
জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব খন্দকার মো. মহিউদ্দিন মাহির সঞ্চালনায় জাতীয় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও নাগরিক ফোরামের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাসুদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধানমণ্ডি থানার সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবি, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি এস.এম. আবুল কালাম আজাদ, আজহার পাঠান প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম.সাইফুল ইসলাম মজুমদার, কে.জি. সেলিম, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ উল্ল্যাহ রকি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সহ-প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমেদ রাজ প্রমুখ।