প্রথম গুজব ছড়ানো হয় লন্ডন থেকে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহল নতুন নতুন গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। হারপিক দিয়ে ডেঙ্গু নিধন একটি নতুন গুজব। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে গুজব ছড়িয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিদেশে বসে ফেইক আইডি ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে বেড়ায়।
মন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তার শাস্তির পাশাপাশি যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা আইন বা নীতিমালা তৈরি করছে। ফেসবুক বা টুইটারের গুজব ছড়ালে সার্ভিস প্রোভাইডারকেও জবাবদিহি করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে গুজব ছড়াচ্ছে। প্রথম গুজব ছড়ানো হয় লন্ডন থেকে। লন্ডন থেকে প্রচারিত একটি পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ শিশুর মাথা বলি দিতে হবে। সেটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এতে কিছু দুষ্কৃতিকারী সন্দেহজনকভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে এবং হত্যা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার পর নতুন গুজব ছড়িয়েছে বিদ্যুৎ থাকবে না, তখন ছেলে ধরা আসবে। এরপর নতুন আরেকটি গুজব ছড়িয়েছে, বেসিনে হারপিকসহ কেমিক্যাল ঢেলে দিলে ডেঙ্গু নিধন সম্ভব হবে। এটি অসত্য গুজব সেটির বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, গুজব শুধু আমাদের দেশের সমস্যাই নয়, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে এ সমস্যা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মিথ্যা সংবাদ প্রচার করাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে না। আন-ইডিটেড প্লাটফর্ম থেকে এগুলো ছড়াচ্ছে। কেউ গুজব ছড়াতে পোস্ট দিলে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে।