ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না
ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ডিএমপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশতাক হোসেন।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো :
যেকোনো গাড়ি অবশ্যই জনস্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। যদি কেউ না করে সে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
রিকুইজিশনকৃত গাড়ি কোনো কর্মকর্তা তাঁর ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না। রিকুইজিশনকৃত গাড়ির ব্যাপারে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
রিকুইজিশনের ব্যাপারে যেকোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
এ ছাড়া রিকুইজিশনকৃত গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গাড়ির পেট্রোল খরচ বহন করতে হবে। চালকদের খাবার খরচ দিতে হবে।
একই গাড়ি ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়য়বার রিকুইজিশন করা যাবে না। গাড়িতে শিশু বা রোগী থাকলে সে গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না। পুলিশ কমিশনার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব পুলিশ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন এবং নির্দেশনা মানা নিশ্চিত করতে হবে। মনজিল মোরসেদ আরো জানান, আদালত মামলাটি চলমান রেখেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩ (ক) ধারার অধীনে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করা হয়।
এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ মে রুল জারি করা হয়।