ইবনে সিনার চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার সময় রক্তের প্লাটিলেট লেভেল পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে ঢাকা বারের আইনজীবী মো. রমজান আলী সরদার ওরফে রানা সরদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেমাটোলজিস্ট কনসালট্যান্ট প্রফেসর কর্নেল (অব.) মো. মনিরুজ্জামানকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই বাদী শরীরে জ্বর অনুভব করলে ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমণ্ডি শাখায় যান। আউটডোরে পরামর্শ করলে তাঁরা ডেঙ্গু জ্বরের কারণ নির্ধারণে ডেঙ্গু এনএসআই এজি এবং সিবিসি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। পরে তিনি ওই পরীক্ষা দুটি করেন। পরদিন রিপোর্ট সংগ্রহ করে বাদী দেখতে পান রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে বাদী আতঙ্কিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়েন। ওই দিনই বাদী আবারও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে একই পরীক্ষা করান। সেখানে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দুই লাখ সিএমএম, যা সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের শরীরে বিদ্যমান থাকে।
আরজিতে জানা যায়, একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। কিন্তু ইবনে সিনার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম দেখায়, যা কোনো সুস্থ বা অসুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে না। ইবনে সিনার প্রতারণামূলক ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি ওষুধ সেবন করলে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন এবং জীবননাশেরও আশঙ্কা ছিল। এ ঘটনায় বাদী মামলাটি দায়ের করেন।