ঈদের টিকেটের জন্য রাতভর নির্ঘুম স্টেশনে
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ভিড় কমাতে কমলাপুর এলাকাসহ পাঁচটি এলাকায় টিকেট বিক্রি করা হবে। অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে এবং বাকি অর্ধেক অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ রাজধানীর অন্যান্য নির্ধারিত স্টেশনে কাল রাত থেকেই টিকেটপ্রত্যাশী মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
আজ সোমবার পাওয়া যাবে ৭ আগস্টের টিকেট, আগামীকাল মঙ্গলবার দেওয়া হবে ৮ আগস্টের টিকেট। এ ছাড়া ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট পাওয়া যাবে ১১ আগস্টের টিকেট।
এ ছাড়া ফিরতি টিকেট ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবেন এবং ঈদের অগ্রিম টিকেট ফেরত নেওয়া হবে না।
রাজধানীর পাঁচটি স্থান থেকে ঈদযাত্রার জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে যমুনা সেতু হয়ে চলা সব ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট।
তেজগাঁও স্টেশন থেকে দেওয়া হবে ময়মনসিংহ জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট। বনানী স্টেশন থেকে দেওয়া হবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট। ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে দেওয়া হবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই পত্রিকা বিছিয়ে কাউন্টারের সামনে ঘুমিয়ে রয়েছেন। আবার তার পাশেই কেউ হয়তো গল্পে মশগুল। কেউ পত্রিকা পড়ছেন বা লুডু খেলছেন। এসব যাত্রী বলছেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা এখানে এসে লাইন ধরেছেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই মূলত এই কষ্ট স্বীকার করা। এরই মধ্যে টিকেট পেতে ভোগান্তির আশঙ্কার কথাও বলেছেন যাত্রীরা। তাঁরা আরো দাবি করেছেন, ঈদের অগ্রিম টিকেট সকাল ৯টা নয়, ৭টা থেকে দেওয়া শুরু করা উচিত।
কমলাপুর থেকে দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের টিকেট। এখান থেকে রাজশাহীর বনলতা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটি, খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস ও ঈদ স্পেশাল, পঞ্চগড়গামী দ্রুতগামী এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকেট দেওয়া হবে। বেনাপোলের টিকেটও এখান থেকে দেওয়া হবে। পাওয়া যাবে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের টিকেট। এ ছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট ঈদ স্পেশালের টিকেট পাওয়া যাবে এখানে। সিরাগঞ্জের টিকেটও এখানে পাওয়া যাবে। মোট ১৬টি ট্রেনের টিকেট আজ দেওয়া হবে। এর টিকেট সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৫। এর মধ্যে অনলাইনে কাটা যাবে নয় হাজার ৪৪৪টি টিকেট, বাকি টিকেট বিক্রি হবে কাউন্টার থেকে।