ঝালকাঠিতে ২৪ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ
ঝালকাঠির ২৪ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদক ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসায় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম। পরে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন ও মাছ ধরার জাল দেওয়া হয়।
জেলা পুলিশের আয়োজনে আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠিতে ছেলেধরা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা শেষে পুলিশ লাইনসের দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সুধী সমাবেশ। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এরপর সমাবেশে আত্মসমর্পণ করেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
এখন পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলায় ১৭১ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ জনকে নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ জনেরও বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়।
এদিকে, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, এটা সম্পূর্ণ গুজব। ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি বা মেরে ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ছেলেধরা গুজব নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
সবাইকে সচেতন হয়ে গুজবকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান ডিআইজি। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু।