হত্যার সময় পরা পোশাক নানিকে পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিল হৃদয়
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামি হৃদয় হত্যার সময় পরা পোশাক তার নানিকে পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিল। তবে পুড়িয়ে ফেলার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘হৃদয় তার নানিকে হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত সব পোশাক পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিল বলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তবে পোশাক পুড়িয়ে ফেলার আগেই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা হৃদয়কে গ্রেপ্তার করি নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে। গ্রেপ্তারের সময় সে তার খালা বেগম খালেদার বাসায় ছিল। হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত নীল টি-শার্ট আর প্যান্ট।’
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘হৃদয় হয়তো ভেবেছিল, সে নিজের পোশাক এবং চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকবে। তাই সে চুল কেটে ন্যাড়াও হয়েছে। হৃদয় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।’
গত ২০ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। দুই ছেলেমেয়েকে ভর্তির জন্য সেখানে খোঁজ নিতে গিয়ে গুজবের কবলে পড়ে গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরের দিন রোববার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানের বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাসলিমাকে হত্যার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে হৃদয়কে লাঠি বা রডজাতীয় কিছু দিয়ে তাসলিমাকে আঘাত করতে দেখা যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির পূর্ব বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান ফিরোজ গতকাল রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ডিবির পূর্ব ডিভিশনের অবৈধ মাদক উদ্ধার টিম মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় হৃদয় তার ছোট খালা বেগম খালেদার বাসায় ছিল।