কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসা স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রিমাকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পিয়াস মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের পশ্চিম মাদার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া পিয়াস মিয়ার বাড়ি পাকুন্দিয়ার চরফরাদী গ্রামে। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। সে রিমা ধর্ষণ-হত্যায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত দ্বিতীয় আসামি।
আজ রোববার দুপুরে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পিয়াসকে আটকের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম শোভন খান জানান, গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাতে গাংধোয়ারচর এলাকায় নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী রিমাকে নানার বাড়ি বেড়াতে গেলে তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিয়াস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রিমাকে বাড়ি থেকে সুকৌশলে ডেকে এনে গণধর্ষণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা ঘটনা সাজানোর বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতেও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে বলে র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক জানান।
নিহত স্মৃতি আক্তার রিমা পাশের হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। সে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পাকুন্দিয়ার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরী রিমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে হত্যার কারণ হিসেবে ধর্ষণের পর হত্যা আলামত পাওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে নিহতের মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলার চরফরাদী গ্রামের জাহিদ মিয়াকে প্রধান আসামি, পিয়াস মিয়া, রুমান মিয়া ও রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।