প্রিয়া সাহার পেছনের ইন্দনদাতাদেরও খুঁজে বের করা হবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রিয়া সাহা মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। তার জাতি বিধ্বংসী জঘন্যতম উসকানিমূলক বক্তব্য মূলত দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। প্রিয়া সাহার পেছনের ইন্দনদাতাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা কীভাবে ও কার মাধ্যমে আমেরিকায় গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাও আমরা খুঁজে বের করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রিয়া সাহার স্বামী বাংলাদেশ সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। আইন অনুযায়ী স্ত্রীর অপরাধের জন্য স্বামী দায়ী নন। তবে প্রিয়া সাহার এ অপকর্মের পেছনে তাঁর স্বামীর কোনো ইন্দন বা সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তাও অনুসন্ধান করে দেখা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব মানুষ শান্তি ও সুখে বসবাস করছে।
বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে ভীত নই। বিএনপি কী করতে পারবে, তা জাতি জানে। বিএনপি একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। নিজেদের হটকারী কর্মসূচির কারণেই বিএনপি আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২১ জুলাই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখানে (বাংলাদেশে) প্রায় ৩৭ মিলিয়ন (তিন কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ডিসঅ্যাপেয়ার (নিখোঁজ) হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনো সেখানে (বাংলাদেশে) ১৮ মিলিয়ন (এক কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু আমাদের (বাংলাদেশে) থাকতে সাহায্য করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।’
এ সময় ট্রাম্প জানতে চান, ‘কারা জমি দখল করেছে? কারা বাড়ি দখল করেছে?’ জবাবে ওই নারী বলেন, ‘মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এগুলো করছে। তারা সব সময় পলিটিক্যাল শেল্টার (রাজনৈতিক ছত্রছায়া) পায়।’
প্রিয়া সাহা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ‘দলিত কণ্ঠ’ নামের একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।