আশুগঞ্জে ভোটার হালনাগাদে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে টিম লিডারকে অব্যাহতি

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে টিম লিডার নুরুজ্জামান খান জনিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। ছবি : এনটিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটারের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে টিম লিডারকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম করার সময় এই ঘটনা ঘটে।

চরচারতলা ইউনিয়নের নতুন ভোটার মো. আবু বক্কর বলেন, ‘নতুন ভোটার হতে বুধবার সকালে চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদে যাই। তখন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের টিম লিডার নুরুজ্জামান খান জনিকে আমার পাসপোর্ট দেখালে তিনি বলেন, ‘আপনার সমস্যা আছে। আপনি ভোটার হতে পারবেন না।’ পরে হালনাগাদ কার্যক্রমের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মো. পারভেজ আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন যে কিছু ঘুষ দিলে আপনার ভোট উঠানো যাবে। এরপর আমি, খলিল মিয়াসহ তিনজন মিলে দেড় হাজার টাকা টিম লিডার নুরুজ্জামান খান জনিকে দেই। টাকা দেওয়ার পর আমাদের নাম ভোটার তালিকায় ওঠানো হয়।’

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করলে টিম লিডার নুরুজ্জামান খান জনি পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, ভোটার হালনাগাদ করতে টাকা লাগে? এ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি টাকা নিয়ে থাকে তবে কেন টাকা নিয়েছে তার সঠিক কারণ তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে কার নির্দেশে তিনি টাকা নিয়েছেন।

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে টিম লিডার নুরুজ্জামান খান জনিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এ সময় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোমা যাদব উপস্থিত ছিলেন।