২০ জেলা বন্যা আক্রান্ত, পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে : প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। পুরোনো ছবি : এনটিভি

প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীন ও নেপালে আরো বৃষ্টিপাত হলে এবং ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলে দেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বন্যা এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। আবহাওয়াবিদদের মতে, আরো বৃষ্টি হতে পারে। যদি চীন, নেপাল ও ভারতে আরো বৃষ্টিপাত হয় এবং সেখানে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতির আরেকটু অবনতি হতে পারে।’

সংবাদ সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যায় এখন পর্যন্ত ২০ জেলা আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে ১০টি জেলায় বন্যা ছিল। দুদিন পরে ১৫টি হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ২০টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। প্রতিটি কমিটিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এ পর্যন্ত ৭০০ টন চাল, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতি জেলায় শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা করে এবং ৫০০টি করে তাঁবু পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বন্যার সব আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের এবং মাঠকর্মীদের সামর্থ্য আছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। আর আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ সবকিছুই নিশ্চিত করা হবে।’

বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে ‘টাওয়ার’

বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বজ্রপাতে মৃত্যু নিরোধের জন্য বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব করেছেন ডিসিরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ও বন্যার কাজের জন্য মোটরবোটের (যন্ত্রচালিত নৌকা) সংখ্যা কম। তারা (ডিসি) সেটি বাড়াতে বলেছেন। পাশাপাশি বন্যাকবলিত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য নৌকার প্রস্তাবও এসেছে।’

‘আগে আমরা এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তারা সেখানে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। আমরা বলেছি, তিন লাখ টাকাই দেওয়া হবে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।