নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নেত্রকোনা জেলার আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় এরই মধ্যে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদরের ২২ ইউনিয়নের ২৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠগুলোতে পানি প্রবেশ করায় দুই শতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্যায় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লক্ষাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুররা। তারা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কাজে বের হতে পারছে না। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় যে পরিমাণ ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কোনো কোনো এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় সাতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১১০ টন চাল এবং তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় যাতে পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।