‘এরশাদ সাধারণ মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। তাঁর পবিত্র কাবাঘরের ভেতরে তিনবার নামাজ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। মানুষ মাত্রই ভুলত্রুটি হয়ে থাকে। আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা তাঁকে মাফ করে দিন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করে।’

এভাবেই বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সময় তিনি কাঁদছিলেন।

এর পরেই আজ রোববার  সেনা মসজিদে এরশাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে নেওয়া হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক দুটি শোকবার্তায় এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিগত শতাব্দীর আশির দশকে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে টানা আট বছর রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন এরশাদ। নব্বইয়ের দশকের শেষে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেন এই সামরিক শাসক।

মাঝখানে কিছুদিন কারাবাস করলেও প্রায় চার দশক নিজের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এরশাদ। বারবার জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন; সর্বশেষ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।