‘মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ত না’
এবার ডেঙ্গুর উপদ্রব এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এবং সামনে তা আরো বাড়তে পারে। এ কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মশার কামড় থেকে নাগরিকদের রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সিটি করপোরেশন মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময়ে জ্বর হলে অবহেলা না করে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, চলতি বর্ষা মৌসুমে এ পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি বেসরকারি ৩৪টি হাসপাতালে দুই হাজার ৬২৬ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন। আর বর্তমানে ৫৫৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। উদ্বেগের খবর হচ্ছে গত ৬ জুলাই থেকে প্রতিদিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আর যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে এবং গরমের তীব্রতাও কমছে না; তাতে ডেঙ্গুর মাত্রা আরো বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে আমাদের হাসপাতালে কোনো মৃত্যু না ঘটে। অবহেলার কোনো কারণও নাই। ডেঙ্গু জ্বর হলে স্বাস্থ্যসেবাটা সময়মতো নিলে মৃত্যুঝুঁকি নাই। তবে দেরি করলেই সমস্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। মশার উৎপত্তিস্থল যদি ধ্বংস করা হতো তাহলে মশা কমে যেত তাহলে ডেঙ্গু এত বাড়ার কথা না, কমার কথা।’
তাই মশা নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করতে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতি আবারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ সাধারণ জ্বর ভেবে কোন জ্বরকে অবহেলা না করার পরামর্শ দেন। সেইসঙ্গে সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার সব ব্যবস্থা আছে। আমরা রোগীদেরকে একটা জিনিস বলব, জ্বর হলে তারা যেন সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা না করেন। ডেঙ্গু জ্বর রোগীর কাছে সাধারণ জ্বরই মনে হবে।’
এর আগে বৈঠকে জাতীয় শোক দিবসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।