কারাগারেই থাকতে হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকীকে
দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাননি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এতে আপাতত তাঁকে জেলেই থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবীরা।
তবে লতিফ সিদ্দিকীর কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আজ রোববার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সুব্রত কুমার কুণ্ডু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দরিয়াপুর মৌজায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ২.৩৮ একর সরকারি জমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরপত্র ছাড়াই কম মূল্যে বিক্রি করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকী ও বেগম জাহানারা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের বগুড়া শাখার সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
বাদী নিজেই মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী হলফমূলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আজ সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।