বনানীতে অগ্নিকাণ্ড, তদন্ত প্রতিবেদন ৪ আগস্ট
রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিব উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেছেন।’
গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক-রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন এবং হাসপাতালে আরো একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এফ আর টাওয়ারে আগুনের হতাহতের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এর পরে এ মামলায় কাশেম ড্রাই সেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম ও প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে তাঁদের জামিন দেন সিএমএম আদালত। অন্যদিকে মামলার আরেক আসামি রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলও সিএমএম আদালত থেকে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভবনটি ২১তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০ ও ২১ তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর-উল-ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছাদের ওপর আরো দুই তলা নির্মাণ করে ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করেন।