ভৈরবে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ট্রমা অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মারা যাওয়া জুয়েল মিয়ার ভাই কামাল মিয়া বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই মামলা করেন।
জুয়েল মিয়া পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মামলার আসামিরা হলেন, ডা. কামরুজ্জামান আজাদ, ডা: মোহাম্মদ ইমরান, ওয়ার্ডবয় গৌরাঙ্গ এবং হাসপাতালের পরিচালক মোশারফ হোসেন।
ঘটনার দিন বিক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসীর অবরোধ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান আজাদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন বাতিল করে জেলে পাঠান।
এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তিনি এই কমিটি গঠন করেন। গঠিত কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গঠিত কমিটির প্রধান করা হয় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মেদকে। সদস্য সচিব করা হয় কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদকে। কমিটির অপর তিন সদস্য হলেন ডা. মোহাম্মদ সোহেল, সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন ডা. নিয়ামুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারী টুটন বাবু।
আজ শনিবার দুপুরে গঠিত এই কমিটি ঘটনাস্থল পরির্দশনে যান। কথা বলেন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে। প্রত্যক্ষ করেন ভাঙচুর হওয়া হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ। পরে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার ট্রমা অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভাঙা হাতে অস্ত্রোপচারের সময় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি এলাকার দক্ষিণ চন্ডিবের গ্রামের হাজী আলাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর ভুল চিকিৎসায় জুয়েলের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ এনে অর্থোপেডিক চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদকে আটকে রেখে হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালায় মানুষ।
খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের উপস্থিতিতে পুলিশ, র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত মানুষদের সরিয়ে ওই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেয়।