বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুরে জড়িত নই, দাবি ছাত্রদলের বহিষ্কৃতদের
বয়সসীমা বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠিত আন্দোলনের সময় হামলা ও ভাঙচুরে নিজেদের জড়িত না থাকার দাবি করেছেন ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত নেতারা। তাঁদের দাবি, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।
আজ বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বহিষ্কৃত ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে জহির উদ্দিন তুহিন বলেন, ‘ছাত্রদলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রীতিকর ঘটনায় আমাদের ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। এ ধরনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও কারো জন্য কাম্য নয়।’
‘দলের অনুগত এবং বিশ্বস্ত কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও মনে হচ্ছে না। এলোমেলো পরিস্থিতির কারণে সংগঠিত বিষয়ে জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনুগত থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনাবলি পালনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি,’ যোগ করা হয় লিখিত বক্তব্যে।
লিখিত বক্তব্যে তুহিন ছাড়াও স্বাক্ষর করেন এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, এ এ জহির উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, মো. বায়েজীদ আরেফীন, গোলাম আজম সৈকত, মজিফুর রহমান আশিক, মো. রাসেল, কাজী মোখতার হোসাইন প্রমুখ।
গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। এরপর বয়সসীমা উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ।
আন্দোলন চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও নেতাদের কার্যালয়ে প্রবেশে বাধাদানের ঘটনা ঘটে। সংগঠনটির ৩৫ বছর বা তার কম বয়সী পদপ্রত্যাশী কনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের দাবি, গত ২৫ মার্চ সাবেক নেতারা কনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে পিটিয়েছেন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত বড় ভাই ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। একই সঙ্গে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে তারা কার্যালয়ের নিচে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন।
ওই দিন মার খাওয়ার পরও বড়দের দোতলায় উঠতে বাধা দেন ছোট ভাইরা। একপর্যায়ে তারা দোতলা থেকে কাপ-পিরিচ নিয়ে এসে বড় ভাইদের ওপর ছুড়ে মারে এবং প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে বড় ভাইদের পেটায়।