১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন আগামী ১৩ জুলাই দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। তাঁর সঙ্গে আসবে ১০০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে এ সফর। দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সফরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কং ইল। সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সফরের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগ করতে চায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৫৪.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১২৪০.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এ বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে উভয় দেশ একমত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আগামী ১৩-১৫ জুলাই কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ী নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।
টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশে কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য রয়েছে। কোরিয়ান বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেড বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে কোরিয়ান বিনিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কং ইল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার এবং ভালো বন্ধু রাষ্ট্র। কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। অনেক কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। কোরিয়ার তৈরি অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কোরিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে অনেক কাজ করেছে, এখনো করছে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।