নিম্ন আদালতেও ডিআইজি মিজানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ডিআইজি মিজানকে কড়া পুলিশি পাহারায় হাজির করা হয়। এরপর তাঁর পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা শুনানি শেষে বিচারক ডিআইজি মিজানের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল ডিআইজি মিজান হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে তাঁর আবেদন নাকচ করে সঙ্গে সঙ্গে কাস্টডিতে (হেফাজতে) নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। পরে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া তাঁর ভাগ্নে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন করেন মিজানুর রহমান। তাঁর পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
গত ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান।
গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরই এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ড করা বক্তব্যে তাঁর কণ্ঠ নকল করা হয়েছে। পরে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।