নেত্রকোনায় পোশাকশ্রমিককে গণধর্ষণ, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক পোশাকশ্রমিককে (২১) গণধর্ষণের ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবারে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুমন পরিচয়দানকারী ওই স্বামীর প্রকৃত নাম নূরে আলম (২৪)। তার বাড়ি উপজেলার বৈরাটি গ্রামে। গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নূরে আলম ও কেন্দুয়ার ওই তরুণী গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় একটি সোয়েটার কোম্পানিতে এক সঙ্গে চাকরি করতেন। নূরে আলম তাঁর নাম সুমন বলে ওই তরুণীর কাছে পরিচয় দেন। তারা দুজন একজন আরেকজনকে পছন্দ করে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন। ঈদের পরের দিন ৬ জুন বৃহস্পতিবার নূরে আলম ওই তরুণীর গ্রামের বাড়িতে এসে তাঁকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন।
এরপর কেন্দুয়া-মদন সড়কের ভোগ বাজার এলাকায় দুলাল মিয়ার শাপলা ইটভাটার কাছে আসতেই মোটরসাইকেলটির চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকবার স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টার পর নষ্ট হয়ে গেছে বলে তা ঠেলতে থাকেন। সিগারেট ধরানোর আগুনের কথা বলে ইটভাটার ভেতরে যান নূরে আলম। আসতে দেরি দেখে ওই তরুণী ইটভাটার ভেতরে একটি ঘরে দেখেন, তাঁর স্বামীকে বেঁধে রেখেছেন তিন যুবক। ওই তিন যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে সেখান থেকে বের হয়ে ওই তরুণী স্থানীয়দের জানাতে চেষ্টা করলে তিন ধর্ষক ও তাঁর স্বামী ওই মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামীর পরিকল্পনায় তিনি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন।
বিষয়টি ওই রাতেই পুলিশকে জানালে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় পরের দিন শুক্রবার অভিযুক্ত ধর্ষক টিপু, সবুজ মিয়া ও আমির হামজা গ্রেপ্তার হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান। কিন্তু মূল হোতা কথিত স্বামী সুমন পরিচয়দানকারী নূরে আলম এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, রোববার বিকেলে গোপন সংবাদ পেয়ে গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ রাস্তার মাঝামাঝি স্থান থেকে কথিত স্বামী নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।