শিশুকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, ইমামসহ দুজনের কারাদণ্ড
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে ঢাকার ধামরাই উপজেলার এক মসজিদের ইমামসহ দুজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আবু ফোরকান মোহাম্মদ মারুফ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আনোয়ারুল কবীর বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইমাম সেলিম হোসেন ও তাঁর সহযোগী জামাল। রায়ে বিচারক দুজনকে ২০১২ সালের পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(২)(৭) ধারায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় সহযোগী জামাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মসজিদের ইমাম সেলিম হোসেন পলাতক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী এলাকার মসজিদের মক্তবে পড়তে গেলে ইমাম সেলিম তাকে ফুসলিয়ে নিজ কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেলিম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। আর তাঁর সহযোগী জামাল ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে।
পরে ওই দুজন ২০১৪ সালের ২৬ মে ধর্ষণের ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ধামরাই থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক অভিযোগপত্র দেয়। বর্তমানে ধর্ষণের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।