মানুষের নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া প্রয়োজন : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সব নাগরিকের ন্যায়বিচারে প্রবেশের সমান অধিকার এবং নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা প্রয়োজন।’
আজ বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে লিগ্যাল এইড অফিসারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ যেখানে বিচারপ্রার্থীদের একটি বড় অংশ আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে তাদের জন্য আইনি পরামর্শ গ্রহণ এবং আইনি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জাস্টিস অডিটের তথ্যমতে ৬৮ ভাগ মানুষ আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হওয়া স্বত্ত্বেও ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী। শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশীর সাথে ছোট-খাটো বিরোধ বা মারামারি যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। বাংলাদেশের আদালতগুলোতে তিন মিলিয়নের অধিক মামলা জট রয়েছে, যার বেশির ভাগই ছোটখাটো অপরাধের জন্য দায়েরকৃত মামলা।’ তিনি বলেন, ‘আইন সহায়তার বিষয়টি নিয়েও নতুন করে ভাববার আছে এবং এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সময় এসেছে। এখন পর্যন্ত আইনিসেবা বলতে আমরা আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তাকেই বুঝি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে এডিআর কর্নার বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্যও অংশীদারত্ব প্রয়োজন।’
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশে জিআইজেড প্রকল্পের উপ জাতীয় প্রকল্প পরিচালক প্রমিতা সেন গুপ্ত বক্তৃতা করেন।