প্রশ্নপত্র ফাঁস : ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ এ মামলার অভিযোগপত্র ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বিচারক তা আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
আনিসুর রহমান জানান, গত ২৩ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের ১২৫ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া আসামিরা হলেন- নুরুল ইসলাম, হাসমত আলী, হোসনে আরা বেগম, মো. বাবুল, তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, ফারজাদ ছোবহান নাফি, ইব্রাহিম, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মো. মোস্তফা কামাল, মো. হাফিজুর রহমান, মাসুদ রহমান তাজুল, এম ফাইজার নাঈম সাগর, সাদিয়া সুলতানা এশা, সামিয়া সুলতানা ,ফাতেমা আক্তার তামান্না, মো. আবু জুনায়েদ সাকিব ও মোস্তাফিজসহ ৭৮ জন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করে সিআইডি। সে মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ ছাড়া ৭৮ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।