কুলাউড়ার দুর্ঘটনার জন্য রেল মন্ত্রণালয় দায়ী নয় : রেলমন্ত্রী
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য রেল মন্ত্রণালয় দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, ব্রিজ ভেঙে নয়, দুর্বল লাইন ও নাট বল্টুর কারণেই এই দুর্ঘটনা হতে পারে। তবে তদন্ত কমিটি এটা জানাবে।
রেলমন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে কুলাউড়ার বরমচাল রেল স্টেশনের কাছে আন্তনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। একটি দুর্ঘটনার জন্য রেল মন্ত্রণালয়কে ব্যর্থ বলা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী, নাট-বল্টু খোলা ও কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না— এ বিষয় খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে যা আসবে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে রেল বিভাগ।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় রেল বিভাগের উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এই সরকারের আমলে আলাদা রেল মন্ত্রণালয় হয়েছে। দৃশ্যমান নানা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।
এ সময় স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বরমচাল স্টেশনে দুটি আন্তনগর ট্রেন স্টপিজের আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী। পরে প্রয়োজন হলে আরো স্টপিজ বাড়ানোর কথাও বলেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-সিলেট রুটে ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। এখানে বিদ্যমান লাইনের সেতু সব নতুন নির্মিত হবে। ভবিষ্যতে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সারা দেশের রেল লাইনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এক লাখ ও আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনও আর্থিক সহযোগিতা করবে।
এরপর মন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়ার আওয়ামী লীগনেতার স্ত্রী মনোয়ারা পারভীনের বাড়িতে যান এবং তাঁদের সান্ত্বনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা।